• الصفحة الرئيسيةخريطة الموقعRSS
  • الصفحة الرئيسية
  • سجل الزوار
  • وثيقة الموقع
  • اتصل بنا
English Alukah شبكة الألوكة شبكة إسلامية وفكرية وثقافية شاملة تحت إشراف الدكتور سعد بن عبد الله الحميد
 
الدكتور سعد بن عبد الله الحميد  إشراف  الدكتور خالد بن عبد الرحمن الجريسي
  • الصفحة الرئيسية
  • موقع آفاق الشريعة
  • موقع ثقافة ومعرفة
  • موقع مجتمع وإصلاح
  • موقع حضارة الكلمة
  • موقع الاستشارات
  • موقع المسلمون في العالم
  • موقع المواقع الشخصية
  • موقع مكتبة الألوكة
  • موقع المكتبة الناطقة
  • موقع الإصدارات والمسابقات
  • موقع المترجمات
 كل الأقسام | مقالات شرعية   دراسات شرعية   نوازل وشبهات   منبر الجمعة   روافد   من ثمرات المواقع  
اضغط على زر آخر الإضافات لغلق أو فتح النافذة اضغط على زر آخر الإضافات لغلق أو فتح النافذة
  •  
    صفة الوضوء
    تركي بن إبراهيم الخنيزان
  •  
    التمييز بين «الرواية» و«النسخة» في «صحيح البخاري»
    د. هيثم بن عبدالمنعم بن الغريب صقر
  •  
    أسماء الله الحسنى من خلال الجزء (السابع والعشرون) ...
    أبو عامر محمد نور حكي السلفي
  •  
    شرح متن طالب الأصول: (1) معنى البسملة
    أبو الحسن هشام المحجوبي ويحيى بن زكرياء ...
  •  
    من أقوال السلف في أسماء الله الحسنى: (القريب، ...
    فهد بن عبدالعزيز عبدالله الشويرخ
  •  
    قبسات من علوم القرآن (3)
    قاسم عاشور
  •  
    من دعاء الرسول صلى الله عليه وسلم
    الشيخ محمد جميل زينو
  •  
    اتقوا الأرحام
    أ. د. زكريا محمد هيبة
  •  
    ورع وإخلاص طلاب علم الأمس... مشاعل تنير دروب ...
    نوال محمد سعيد حدور
  •  
    {ونضع الموازين القسط ليوم القيامة} (خطبة)
    د. محمود بن أحمد الدوسري
  •  
    تفسير قوله تعالى: {يا أيها الذين آمنوا إن تطيعوا ...
    سعيد مصطفى دياب
  •  
    إزالة الغفلة (خطبة)
    الشيخ د. إبراهيم بن محمد الحقيل
  •  
    اتقوا فتنة التبرج
    د. لحرش عبد السلام
  •  
    كثرة تلاوته صلى الله عليه وسلم القرآنَ على فراشه ...
    الشيخ أ. د. عرفة بن طنطاوي
  •  
    عمى البصيرة يورد المهالك
    د. عبدالرحمن بن سعيد الحازمي
  •  
    شرح أحاديث الطهارة
    لطيفة بنت عبداللطيف
شبكة الألوكة / آفاق الشريعة / منبر الجمعة / الخطب / خطب بلغات أجنبية
علامة باركود

خطبة: بين النفس والعقل (2) - باللغة البنغالية

خطبة: بين النفس والعقل (2) - باللغة البنغالية
حسام بن عبدالعزيز الجبرين

مقالات متعلقة

تاريخ الإضافة: 18/8/2024 ميلادي - 13/2/1446 هجري

الزيارات: 1495

 حفظ بصيغة PDFنسخة ملائمة للطباعة أرسل إلى صديق تعليقات الزوارأضف تعليقكمتابعة التعليقات
النص الكامل  تكبير الخط الحجم الأصلي تصغير الخط
شارك وانشر

খুতবার বিষয়ঃ নাফস এবং বুদ্ধির মাঝে (২)

প্রথম খুৎবা

 

الحمد لله الخالق البارئ المصور، المهيمن المقدم المؤخر، العزيز الجبار المتكبر، وأشهد أن لا إله إلا الله وحده لا شريك له، له الملك وله والحمد، وهو على كل شيء قدير، وأشهد أن محمدًا عبده ورسوله، افترض الله على العباد طاعته وتوقيره، ومحبته وتعزيره، صلى الله وسلم عليه وعلى آله وصحبه، ومن تبعه بإحسان إلى يوم الدين.


হামদ ও সালাতের পর!

 

আমি আপনাকে এবং নিজেকে তাকওয়া অবলম্বন করার অসিয়ত করছিঃ

﴿ وَاتَّقُوا اللَّهَ وَاعْلَمُوا أَنَّكُمْ إِلَيْهِ تُحْشَرُونَ ﴾ [ البقرة: 203]

অনুবাদঃ (আর তোমরা আল্লাহ্‌র তাকওয়া অবলম্বন কর এবং জেনে রাখ যে, তোমাদেরকে তাঁর নিকট সমবেত করা হবে)।

 

যদি প্রশ্ন করেন, নাফস কি? সুতরাং যুক্তিগুলো থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, সেটা রুহ বা আত্মা, কেউ কেউ বলেছেন: নফস হলো দেহের সাথে বসবাসকারী আত্মার নাম।আল্লাহ বলেন:

﴿ اللَّهُ يَتَوَفَّى الْأَنْفُسَ حِينَ مَوْتِهَا وَالَّتِي لَمْ تَمُتْ فِي مَنَامِهَا فَيُمْسِكُ الَّتِي قَضَى عَلَيْهَا الْمَوْتَ وَيُرْسِلُ الْأُخْرَى إِلَى أَجَلٍ مُسَمًّى إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ ﴾ [الزمر: 42].

 

অর্থঃ (আল্লাহ্ই জীবসমূহের প্রাণ হরণ করেন তাদের মৃত্যুর সময় এবং যাদের মৃত্যু আসেনি তাদের প্রাণও নিদ্রার সময়। তারপর তিনি যার জন্য মৃত্যুর সিদ্ধান্ত করেন তার প্রাণ তিনি রেখে দেন এবং অন্যগুলো ফিরিয়ে দেন এক নির্দিষ্ট সময়ের জন্য । নিশ্চয় এতে নিদর্শন রয়েছে এমন সম্প্রদায়ের জন্য, যারা চিন্তা করে)।

 

হাদীসে এসেছে তোমরা কেউ ঘুমানোর উদ্দেশ্যে শয্যায় গেলে তখন যেন সে বলেঃ

"بِاسْمِكَ رَبِّ وَضَعْتُ جَنْبِي وَبِكَ أَرْفَعُهُ، إِنْ أَمْسَكْتَ نَفْسِي فَاغْفِرْ لَهَا، وَإِنْ أَرْسَلْتَهَا فَاحْفَظْهَا بِمَا تَحْفَظُ بِهِ عِبَادَكَ الصَّالِحِينَ"‏‏.

 

অর্থঃ (হে আমার প্রতিপালক! একমাত্র তোমারই নামে আমার শরীরের পার্শ্বদেশ বিছানায় রাখলাম এবং তোমারই সাহায্যে আবার তা উঠাব। তুমি যদি আমার জীবনটুকু আটকিয়ে রাখ; তাহলে তাকে মাফ করে দিবে। আর যদি তা ফিরিয়ে দাও তা হলে তোমার নিষ্ঠাবান বান্দাদেরকে যেভাবে হিফাযত কর, সেভাবে তার হিফাযত করবে)।

 

আর ঘুম হতে জেগে উঠে সে যেন বলেঃ

"الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي عَافَانِي فِي جَسَدِي وَرَدَّ عَلَىَّ رُوحِي وَأَذِنَ لِي بِذِكْرِهِ".

অর্থঃ “সকল প্রশংসা আল্লাহ তা'আলার যিনি আমার দেহকে হিফাযাত করেছেন এবং আমার জান আবার আমাকে ফেরত দিয়েছেন এবং তাকে স্মরণ করারও অনুমতি (তাওফীক) দান করেছেন”। (তিরমিযী ও নাসাঈ এটি বর্ণনা করেছেন এবং আলবানী হাসান বলেছেন)।

 

সহীহ হাদীসে শহীদদের সম্পর্কে এসেছেঃ "জান্নাতের মধ্যে তাদের রূহগুলো সবুজ পাখির আকারে যথা ইচ্ছা ঘুরে বেড়ায়, আরশের সাথে ঝুলানো ঝাড়বাতিসমূহে (বসে) আরাম করে"।

 

আত্মার জগতের ব্যাপারটা খুবই অদ্ভুত, যদিও আমরা আত্মা সম্পর্কে জানি এবং তা আমাদের দেহে বিদ্যমান, কিন্তু আমরা তার প্রকৃতি ও অবস্থা জানি না।

 

আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ

﴿ وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الرُّوحِ قُلِ الرُّوحُ مِنْ أَمْرِ رَبِّي وَمَا أُوتِيتُمْ مِنَ الْعِلْمِ إِلَّا قَلِيلًا ﴾ [الإسراء: 85]

অর্থঃ (আর আপনাকে তারা রূহ সম্পর্কে প্রশ্ন করে । বলুন, ‘রূহ আমার রবের আদেশঘটিত এবং তোমাদেরকে জ্ঞান দেয়া হয়েছে অতি সামান্যই)।

 

হাদীসে এসেছেঃ (সমস্ত রূহ সেনাবাহিনীর মত একত্রিত ছিল। সেখানে তাদের যে সমস্ত রূহের পরস্পর পরিচয় ছিল, এখানেও তাদের মধ্যে পরস্পর পরিচিতি থাকবে। আর সেখানে যাদের মধ্যে পরস্পর পরিচয় হয়নি, এখানেও তাদের মধ্যে পরস্পর মতভেদ ও মতবিরোধ থাকবে)। (মুসলিম)

 

হে আমার প্রিয়গণ! পবিত্র কুরআনে সন্তুষ্ট নফস, তিরস্কারকারী নফস এবং মন্দ আদেশকারী নফসের কথা উল্লেখ আছে। ইবনে তাইমিয়া রাহিমাহুল্লাহ বলেন: "আত্মা তিন প্রকার: মন্দ আদেশকারী নফস। এটি সেই নাফস যার উপর প্রবৃত্তির অনুসরণ আধিপত্য করে এবং পাপ ও অবাধ্যতায় লিপ্ত থাকে।

 

তিরস্কারকারী নফসঃ এ থেকে সেই নাফসকে বোঝায় যে পাপ করে, কিন্তু অনুতপ্তও হয়, তার মধ্যে ভালো ও মন্দ উভয়ই বিদ্যমান, কিন্তু যখন সে মন্দ কাজ করে, তখন সে অনুতপ্তও হয় এবং প্রত্যাবর্তন করে। এই কারণেই তাকে লাওয়ামাহ (তিরস্কারকারী) নফস বলা হয়। পাপ এবং অবাধ্যতার জন্য তার মালিককে তিরস্কার করে, এবং সে ভাল এবং মন্দের মধ্যে দ্বিধাগ্রস্ত থাকে।

 

সন্তুষ্ট নফস মানে সেই নফস: যে ভালোকে পছন্দ করে এবং কল্যাণকে ভালোবাসে, খারাপকে অপছন্দ করে ও ঘৃণা করে, এটা তার নৈতিকতা, অভ্যাস, চরিত্র এবং অভিজ্ঞতার অংশ হয়ে যায়। এই ভিন্ন অবস্থা এবং গুণাবলী একই ব্যক্তির মধ্যে পাওয়া যায়, কিন্তু প্রতিটি মানুষের মধ্যে শুধুমাত্র একটি নাফস থাকে। এটি এমন একটি বিষয় যা প্রতিটি ব্যক্তি তাদের অন্তরে অনুভব করে।

 

ইবনে উসাইমিন (রহ.) বলেন: “মানুষ তার আত্মার মাধ্যমে এই বিভিন্ন প্রকারের আত্মাকে উপলব্ধি করতে পারে। কখনও কখনও কেউ নিজের মধ্যে কল্যাণের আকর্ষণ খুঁজে পায়, মঙ্গলের আকাঙ্ক্ষা অনুভব করে, ভাল কাজ করে। আর এটাই সন্তুষ্ট নাফস। এবং কখনও কখনও সে তার নিজের মধ্যে মন্দের আকর্ষণ অনুভব করে, সে মন্দ কাজও করে। আর এটাই মন্দের আদেশকারী নাফস। আরেকটি নাফস হচ্ছে তারপর নাফসে লাওয়ামাহ বা তিরস্কারকারী নাফস। এটা অন্যায়ের জন্য তাকে দোষারোপ করে, সুতরাং আপনি দেখতে পাচ্ছেন যে, সে পাপ করার পরে অনুতপ্ত হয়”।

 

ইবনুল কাইয়্যিম (রহঃ) বলেছেন: "বরং, আত্মার অবস্থা এক দিনে বা এক ঘন্টার মধ্যে এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থাতে পরিবর্তিত হয়।"

 

আমার বিশ্বস্ত ভাইয়েরা! আল্লাহ বুদ্ধিকে সৃষ্টি করেছেন চিন্তা ভাবনা করার জন্য এবং তার মালিককে সঠিক পথ দেখানোর জন্য। পক্ষান্তরে নফস তৈরি করা হয় ইচ্ছা এবং আকাঙ্ক্ষা করার জন্য। অতএব, আত্মা ভালবাসে ও ঘৃণা করে, সুখী এবং দুঃখী, সন্তুষ্ট এবং রাগান্মিত হয়। আর বুদ্ধির কাজ হল চাহিদা এবং লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যগুলির মধ্যে সঠিক ও ভুলের মধ্যে পার্থক্য করা, ভাল এবং খারাপকে চিহ্নিত করা এবং লাভ-ক্ষতি সম্পর্কে সচেতন করা।

 

আল্লাহর বান্দারা! এটা ঠিক নয় যে নফস যা কিছু, যেভাবে এবং যে পরিমাণে ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষা করে তা প্রদান করা। তবে এটি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বুদ্ধির উপস্থিতি আবশ্যক। তাই চর্মরোগে আক্রান্ত ব্যক্তির আত্মা ততক্ষণ পর্যন্ত চামড়া আঁচড়াতে পছন্দ করে যতক্ষণ না স্বস্তি বোধ করে এবং ব্যথা কম অনুভব করে, কিন্তু বুদ্ধি তাকে খুব বেশি আঁচড়াতে নিষেধ করে যাতে তা তার জন্য ক্ষতিকর না হয়।

 

যদিও বুদ্ধি কিছু জিনিস থেকে নফসকে নিষেধ করে, তবে সে তার শত্রু নয়, কিন্তু নফস বুদ্ধির শত্রু হতে পারে। তাই মাদকাসক্ত ব্যক্তির বুদ্ধি তাকে মাদক পরিহার করার নির্দেশ দেয়। আর এতেই তার সুবিধা ও উপকার রয়েছে, কিন্তু তার আত্মা নির্দেশ দেয় যে, সে যেন তার অভ্যাস ও ইচ্ছা অনুযায়ী মাদক সেবন চালিয়ে যায়, যদিও এই কাজটি তার জন্য ক্ষতিকর ও মারাত্মক প্রমাণিত হয়। আর শয়তানের কুমন্ত্রণার কারণে এ জিনিসটি তার কাছে অধিক পছন্দনীয় হয়ে ওঠে, এ কারণেই হাদিসে উল্লেখ রয়েছে: "আমি আমার মনের কু-প্রবৃত্তি, শয়তানের খারাবী থেকে আপনার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি"। (এটি আহমাদ, আবু দাউদ, তিরমিযী ও নাসাঈ বর্ণনা করেছেন)।

 

আমার ঈমানদার ভাইয়েরা! নবী দারিদ্র্য ও অভাব থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন, ইমাম আহমদ এর ব্যাখ্যা এই করেছেন যে, এটি নফসের দারিদ্র্য। এবং দরিদ্র নফস হল সেই ব্যক্তি যে লালসা ও কামনা-বাসনার দাস হয়ে গেছে। নফস যখন দরিদ্র হয়, তখন ধনীর সম্পদ তাকে সম্পদশালী করতে পারে না, আর নফস অভাবগ্রস্ত হলে দরিদ্রের দারিদ্র্য তার ক্ষতি করতে পারে না। কেননা নফসের সচ্ছলতা হল যা পাওয়া যায় তাতেই সন্তুষ্ট থাকা। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (ধনের আধিক্য হলে ধনী হয় না, অন্তরের ধনীই প্রকৃত ধনী)। বুখারী ও মুসলিম।

 

নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন আত্মা থেকে আশ্রয় চেয়েছেন যা কক্ষনও তৃপ্ত হয় না।

 

দ্বিতীয় খুৎবা

الحمد لله القائل: ﴿ وَأَمَّا مَنْ خَافَ مَقَامَ رَبِّهِ وَنَهَى النَّفْسَ عَنِ الْهَوَى * فَإِنَّ الْجَنَّةَ هِيَ الْمَأْوَى ﴾ [النازعات: 40، 41]، وصلى الله وسلم على رسوله وعبده، وعلى آله وصحبه.

 

সালাত ও সালামের পর!

ইসলামী ভাইয়েরা! প্রতিটি আত্মার স্বভাব ভিন্ন, এবং মনস্তাত্ত্বিক প্রকৃতিতে এমন কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে যার ভিত্তিতে একজন ব্যক্তিকে সৃষ্টি করা হয়, যেমন তাড়াহুড়া, রাগ, গাম্ভীর্য নম্রতা এবং সহনশীলতা। যে ধরনের প্রকৃতি ও মেজাজের উপর মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে, এটিকে পৃথিবীতে সৃষ্ট খনিজ পদার্থের (খনি) সাথে তুলনা করা হয়েছে, হাদিসে আছে যে: (মানুষ স্বর্ণ ও রৌপ্যের খনি স্বরূপ। জাহিলিয়াতের সময় যারা সর্বোৎকৃষ্ট তারা ইসলামের সময়ও সর্বোৎকৃষ্ট, যখন তারা সূক্ষ্ম জ্ঞান অর্জন করেন (দীনের বুঝদার হয়ে থাকেন)। মুসলিম

 

নফসের মধ্যে বিভিন্ন ধরণের আকাঙ্ক্ষা রয়েছে, তার মধ্যে কিছু আকাঙ্ক্ষায় সমস্ত মানুষ সমান। আবার কিছু আকাঙ্ক্ষায় তারা একে অপরের থেকে আলাদা। আর যে আকাঙ্ক্ষায় তারা সমান, সেগুলির পরিমাণেও তারতম্য রয়েছে, উদাহরণস্বরূপ, সম্পদ, খাদ্য, পানীয়, প্রতিপত্তি এবং সুনামের প্রতি ভালোবাসা সব মানুষের কাছেই সাধারণ, কিন্তু তারা এর প্রমাণে ভিন্ন। যে লালসা তার মালিককে শরিয়তের বিরোধিতার দিকে নিয়ে যায় তা হারাম।

 

উদাহরণস্বরূপ, সম্পদের প্রতি ভালোবাসা এমন পর্যায়ে পৌঁছে যে তারা প্রতারণা, ঘুষ ও কৃপণতার এমন খারাপ গুণাবলী মাধ্যমে এটি অর্জন করতে শুরু করে। পদের আকাঙ্ক্ষা এতটাই বেড়ে যায় যে এটি তার চূড়ান্ত লক্ষ্যে পরিণত হয়। কিছু আত্মা ধন-সম্পদের আকাঙ্ক্ষা থাকা সত্ত্বেও ধন-সম্পদ খরচ করে এবং মানুষের মধ্যে প্রতিপত্তি ও সম্মান অর্জনের জন্য উদারতা প্রদর্শন করে খুব বেশি মাল খরচ করে। এমনকি অনেক সময় মানুষের প্রশংসা অর্জনের জন্য জীবন পর্যন্ত নিতেও দ্বিধা করে না।

 

আবু হুরাইরাহ (রাঃ) বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, (কিয়ামাতের দিন সর্বপ্রথম যার বিচার করা হবে, সে হচ্ছে এমন একজন যে শহীদ হয়েছিল। তাকে উপস্থিত করা হবে এবং আল্লাহ তার নিয়ামাতরাশির কথা তাকে বলবেন এবং সে তার সবটাই চিনতে পারবে (এবং যথারীতি তার স্বীকারোক্তিও করবে।) তখন আল্লাহ তা'আলা বলবেন, এর বিনিময়ে কী আমাল করেছিলে? সে বলবে, আমি তোমারই পথে যুদ্ধ করেছি এমনকি শেষ পর্যন্ত শহীদ হয়েছি। তখন আল্লাহ তা'আলা বলবেন, তুমি মিথ্যা বলেছো। তুমি বরং এ জন্যেই যুদ্ধ করেছিলে যাতে লোকে তোমাকে বলে, তুমি বীর। তা বলা হয়েছে, এরপর নির্দেশ দেয়া হবে। সে মতে তাকে উপুড় করে হেঁচড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে এবং জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। তারপর এমন এক ব্যক্তির বিচার করা হবে যে জ্ঞান অর্জন ও বিতরণ করেছে এবং কুরআন মাজীদ অধ্যয়ন করেছে। তখন তাকে হাযির করা হবে। আল্লাহ তা'আলা তার প্রদত্ত নি’আমাতের কথা তাকে বলবেন এবং সে তা চিনতে পারবে (এবং যথারীতি তার স্বীকারোক্তিও করবে) তখন আল্লাহ তা'আলা বলবেন, এত বড় নি’আমাত পেয়ে বিনিময়ে তুমি কী করলে? জবাবে সে বলবে, আমি জ্ঞান অর্জন করেছি এবং তা শিক্ষা দিয়েছি এবং তোমারই সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশে কুরআন অধ্যয়ন করেছি। জবাবে আল্লাহ তা'আলা বলবেন, তুমি মিথ্যা বলেছো। তুমি তো জ্ঞান অর্জন করেছিলে এজন্যে যাতে লোকে তোমাকে জ্ঞানী বলে)।

 

এই ধরনের সকল লোক ইখলাস ও আন্তরিকতার সাথে ইবাদত করেনি, তাদের উদ্দেশ্য ছিল কেবল খ্যাতি ও গৌরব অর্জন।আমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও শান্তি কামনা করি। যে ব্যক্তি পদের প্রেমে পড়ে, সে অহংকার, বিদ্বেষে নিমজ্জিত থাকে। কারণ সে পদমর্যাদার মাধ্যমে আত্ম-উন্নতি ও উচ্চতা অর্জন করতে চায়।

 

এ কারণেই আবু জাহল বলেছিঃ "আল্লাহর কসম! আমি জানি যে সে একজন নবী, কিন্তু আমরা 'আব্দ মানাফের সন্তানদের অনুসারী কবে ছিলাম?"। তার সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা এ বাণী নাযিল করেন:

﴿ فَإِنَّهُمْ لَا يُكَذِّبُونَكَ وَلَكِنَّ الظَّالِمِينَ بِآيَاتِ اللَّهِ يَجْحَدُونَ ﴾ [الأنعام: 33]

অর্থঃ (কিন্তু তারা আপনার প্রতি মিথ্যারোপ করে না, বরং যালিমরা আল্লাহ্‌র আয়াতসমূহকে অস্বীকার করে )।

 

রসূলদের আনা শরীয়ত স্বীকার করলে অহংকারী আত্মার মর্যাদায় আঘাত করে। আল্লাহ তা‘আলার ফেরাউন ও তার সম্প্রদায় সম্পর্কে বলেছেন:

﴿ وَجَحَدُوا بِهَا وَاسْتَيْقَنَتْهَا أَنْفُسُهُمْ ظُلْمًا وَعُلُوًّا ﴾ [النمل: 14]

অর্থঃ (আর তারা অন্যায় ও উদ্ধতভাবে নিদর্শনগুলো প্রত্যাখ্যান করল, যদিও তাদের অন্তর এগুলোকে নিশ্চিত সত্য বলে গ্ৰহণ করেছিল । সুতরাং দেখুন, বিপর্যয় সৃষ্টিকারীদের পরিণাম কেমন হয়েছিল!)।

 

আল্লাহ তা‘আলা বনী ইসরাঈল সম্পর্কে বলেছেনঃ

﴿ أَفَكُلَّمَا جَاءَكُمْ رَسُولٌ بِمَا لَا تَهْوَى أَنْفُسُكُمُ اسْتَكْبَرْتُمْ ﴾ [البقرة: 87]

 

অর্থঃ (তবে কি যখনি কোনো রাসূল তোমাদের কাছে এমন কিছু এনেছে যা তোমাদের মনঃপুত নয় তখনি তোমরা অহংকার করেছ ?)।

 

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ (প্রকৃতপক্ষে অহংকার হচ্ছে দম্ভভরে সত্য ও ন্যায় অস্বীকার করা এবং মানুষকে ঘৃণা করা)।

 

অহংকার একজন ব্যক্তিকে সত্যের কাছে মাথা নত করতে বাধা দেয়, যদিও সত্য তার কাছে উজ্জ্বল এবং স্পষ্ট হয়। যখন পদ ও ধন-সম্পদের আকাঙ্ক্ষা বেড়ে যায় তখন ঘৃণা ও হিংসা দেখা দেয়, যখন সে তার সামনে শ্রেষ্ঠ কাউকে দেখে, তখন আত্মা চায় তারা সবাই তার পিছনে থাকুক যাতে তার শ্রেষ্ঠত্ব যেন প্রকাশ পায় এবং জনগণের দৃষ্টিতে সে যেন বিশিষ্ট হয়।

 

চোখের সামনে যে আলো থাকে, তার মতোই এর শক্তিশালী অংশ দৃশ্যমান এবং আবছা আলো দেখা যায় না। নাফসের ঈর্ষার লক্ষণ হল: সে তার প্রতিপক্ষের দোষে এতটাই খুশি যে সে তার নিজের ভালো নিয়ে এত খুশি নয়, কারণ সে তার উন্নতি নয়, তাদের অধঃপতন চায়। অতএব, সে মনে করে যে সে নিজের জায়গায় অবস্থান করলেও, তার প্রতিপক্ষের পিছনে থাকার দ্বারা তার শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশ পাবে, কিন্তু যারা পবিত্র আত্মার মালিক তারা পুণ্য ও শ্রেষ্ঠত্বের কারণ অনুসন্ধান করে। পদ ও ধন-সম্পদ তাদের আসল লক্ষ্য নয়, আর যদি তা পেয়ে যায়, তবে তারা আল্লাহর প্রশংসা করেন এবং তাঁর ফিতনা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করেন এবং সর্বদা সতর্ক থাকে যে সময়ের পরিবর্তনে তাদের নিয়ত ও ইচ্ছা যেন পরিবর্তন না হয়।

 

হে আল্লাহ! আপনি আমার অন্তরে পরহেযগারিতা দান করুন এবং একে সংশোধন করে দিন। আপনি একমাত্র সর্বোত্তম সংশোধনকারী এবং আপনিই একমাত্র তার মালিক ও আশ্রয়স্থল। হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট পানাহ চাই এমন ইলম হতে যা কোন উপকারে আসবে না ও এমন অন্তঃকরণ থেকে যা আল্লাহর ভয়ে ভীত হয় না; এমন আত্মা থেকে যা কক্ষনও তৃপ্ত হয় না। আর এমন দু’আ থেকে যা কবুল হয় না।"

 





 حفظ بصيغة PDFنسخة ملائمة للطباعة أرسل إلى صديق تعليقات الزوارأضف تعليقكمتابعة التعليقات
شارك وانشر

مقالات ذات صلة

  • بين النفس والعقل (1)
  • بين النفس والعقل (2)
  • بين النفس والعقل (3) تزكية النفس
  • بين النفس والعقل (1) (باللغة الأردية)
  • بين النفس والعقل (2) (باللغة الأردية)
  • بين النفس والعقل (3) (باللغة الأردية)
  • بين النفس والعقل (3) تزكية النفس (باللغة الهندية)
  • بين النفس والعقل (2) (باللغة الهندية)
  • بين النفس والعقل (1) (باللغة الهندية)
  • خطبة: بين النفس والعقل (1) - باللغة البنغالية
  • بين النفس والعقل (1) (خطبة) باللغة النيبالية
  • بين النفس والعقل (2) (خطبة) باللغة النيبالية
  • خطبة: بين النفس والعقل (3) تزكية النفس - باللغة البنغالية
  • خطبة: لفت الأنظار للتفكر والاعتبار (1) - باللغة البنغالية

مختارات من الشبكة

  • عاشوراء بين ظهور الحق وزوال الباطل (خطبة)(مقالة - آفاق الشريعة)
  • {ونضع الموازين القسط ليوم القيامة} (خطبة)(مقالة - موقع د. محمود بن أحمد الدوسري)
  • إزالة الغفلة (خطبة)(مقالة - موقع الشيخ إبراهيم بن محمد الحقيل)
  • خطبة: موسى عليه السلام وحياته لله عز وجل(مقالة - آفاق الشريعة)
  • خطبة: العدل ضمان والخير أمان(مقالة - آفاق الشريعة)
  • الورد والآس من مناقب ابن عباس (خطبة)(مقالة - آفاق الشريعة)
  • أنين مسجد (4) وجوب صلاة الجماعة وأهميتها (خطبة)(مقالة - موقع د. صغير بن محمد الصغير)
  • على ضفاف عاشوراء {ودمرنا ما كان يصنع فرعون وقومه} (خطبة)(مقالة - آفاق الشريعة)
  • خطبة: يكفي إهمالا يا أبي(مقالة - آفاق الشريعة)
  • خطبة: فتنة التكاثر(مقالة - آفاق الشريعة)

 



أضف تعليقك:
الاسم  
البريد الإلكتروني (لن يتم عرضه للزوار)
الدولة
عنوان التعليق
نص التعليق

رجاء، اكتب كلمة : تعليق في المربع التالي

مرحباً بالضيف
الألوكة تقترب منك أكثر!
سجل الآن في شبكة الألوكة للتمتع بخدمات مميزة.
*

*

نسيت كلمة المرور؟
 
تعرّف أكثر على مزايا العضوية وتذكر أن جميع خدماتنا المميزة مجانية! سجل الآن.
شارك معنا
في نشر مشاركتك
في نشر الألوكة
سجل بريدك
  • بنر
  • بنر
كُتَّاب الألوكة
  • موافقة رسمية على مشروع تطويري لمسجد بمدينة سلاو يخدم التعليم والمجتمع
  • بعد انتظار طويل.. وضع حجر الأساس لأول مسجد في قرية لوغ
  • فعاليات متنوعة بولاية ويسكونسن ضمن شهر التراث الإسلامي
  • بعد 14 عاما من البناء.. افتتاح مسجد منطقة تشيرنومورسكوي
  • مبادرة أكاديمية وإسلامية لدعم الاستخدام الأخلاقي للذكاء الاصطناعي في التعليم بنيجيريا
  • جلسات تثقيفية وتوعوية للفتيات المسلمات بعاصمة غانا
  • بعد خمس سنوات من الترميم.. مسجد كوتيزي يعود للحياة بعد 80 عاما من التوقف
  • أزناكايفو تستضيف المسابقة السنوية لحفظ وتلاوة القرآن الكريم في تتارستان

  • بنر
  • بنر

تابعونا على
 
حقوق النشر محفوظة © 1447هـ / 2025م لموقع الألوكة
آخر تحديث للشبكة بتاريخ : 20/1/1447هـ - الساعة: 16:46
أضف محرك بحث الألوكة إلى متصفح الويب