• الصفحة الرئيسيةخريطة الموقعRSS
  • الصفحة الرئيسية
  • سجل الزوار
  • وثيقة الموقع
  • اتصل بنا
English Alukah شبكة الألوكة شبكة إسلامية وفكرية وثقافية شاملة تحت إشراف الدكتور سعد بن عبد الله الحميد
 
الدكتور سعد بن عبد الله الحميد  إشراف  الدكتور خالد بن عبد الرحمن الجريسي
  • الصفحة الرئيسية
  • موقع آفاق الشريعة
  • موقع ثقافة ومعرفة
  • موقع مجتمع وإصلاح
  • موقع حضارة الكلمة
  • موقع الاستشارات
  • موقع المسلمون في العالم
  • موقع المواقع الشخصية
  • موقع مكتبة الألوكة
  • موقع المكتبة الناطقة
  • موقع الإصدارات والمسابقات
  • موقع المترجمات
 كل الأقسام | مقالات شرعية   دراسات شرعية   نوازل وشبهات   منبر الجمعة   روافد   من ثمرات المواقع  
اضغط على زر آخر الإضافات لغلق أو فتح النافذة اضغط على زر آخر الإضافات لغلق أو فتح النافذة
  •  
    تلك الوسائل!
    التجاني صلاح عبدالله المبارك
  •  
    حقوق المسنين (2)
    د. أمير بن محمد المدري
  •  
    تعوذوا بالله من أربع (خطبة)
    عبدالله بن عبده نعمان العواضي
  •  
    حكم المبيت بالمخيمات بعد طواف الوداع
    د. محمد بن علي اليحيى
  •  
    الخواطر والأفكار والخيالات وآثارها في القلب
    عبدالعزيز أبو يوسف
  •  
    طائر طار فحدثنا... بين فوضى التلقي وأصول طلب
    محفوظ أحمد السلهتي
  •  
    محبة القرآن من علامات الإيمان
    الشيخ أ. د. عرفة بن طنطاوي
  •  
    ملخص من شرح كتاب الحج (10)
    يحيى بن إبراهيم الشيخي
  •  
    نبذة عن روايات ورواة صحيح البخاري
    د. هيثم بن عبدالمنعم بن الغريب صقر
  •  
    المهاجرون والأنصار رضي الله عنهم والذين جاؤوا من ...
    أ. د. عبدالله بن ضيف الله الرحيلي
  •  
    الحج المبرور
    نورة سليمان عبدالله
  •  
    مائدة التفسير: سورة المسد
    عبدالرحمن عبدالله الشريف
  •  
    أفضل استثمار المسلم: ولد صالح يدعو له
    أ. د. فؤاد محمد موسى
  •  
    السماحة في البيع والشراء وقضاء الديون
    د. خالد بن محمود بن عبدالعزيز الجهني
  •  
    خطبة: الحج ومقام التوحيد: بين دعوة إبراهيم ومحمد ...
    د. صغير بن محمد الصغير
  •  
    موقف الشيعة من آيات الثناء على عموم الصحابة
    الدكتور سعد بن فلاح بن عبدالعزيز
شبكة الألوكة / آفاق الشريعة / منبر الجمعة / الخطب / خطب بلغات أجنبية
علامة باركود

خطبة: لا تغتابوا المسلمين (باللغة البنغالية)

خطبة: لا تغتابوا المسلمين (باللغة البنغالية)
حسام بن عبدالعزيز الجبرين

مقالات متعلقة

تاريخ الإضافة: 25/5/2025 ميلادي - 27/11/1446 هجري

الزيارات: 223

 حفظ بصيغة PDFنسخة ملائمة للطباعة أرسل إلى صديق تعليقات الزوارأضف تعليقكمتابعة التعليقات
النص الكامل  تكبير الخط الحجم الأصلي تصغير الخط
شارك وانشر

খুতবার বিষয়ঃ মুসলিমদের গীবত করো না

প্রথম খুৎবা

 

إن الحمد لله نحمده ونستعينه ونستغفره ونعوذ بالله من شرور أنفسنا ومن سيئات أعمالنا، من يهده الله فلا مضل له ومن يضلل فلا هادي، له وأشهد أن لا إله إلا الله وحده لا شريك له وأشهد أن محمداً عبده ورسوله.


﴿ يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ حَقَّ تُقَاتِهِ وَلَا تَمُوتُنَّ إِلَّا وَأَنْتُمْ مُسْلِمُونَ ﴾ [آل عمران: 102]. ﴿ يَاأَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوا رَبَّكُمُ الَّذِي خَلَقَكُمْ مِنْ نَفْسٍ وَاحِدَةٍ وَخَلَقَ مِنْهَا زَوْجَهَا وَبَثَّ مِنْهُمَا رِجَالًا كَثِيرًا وَنِسَاءً وَاتَّقُوا اللَّهَ الَّذِي تَسَاءَلُونَ بِهِ وَالْأَرْحَامَ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلَيْكُمْ رَقِيبًا ﴾ [النساء: 1] ﴿ يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَقُولُوا قَوْلًا سَدِيدًا * يُصْلِحْ لَكُمْ أَعْمَالَكُمْ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَمَنْ يُطِعِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ فَقَدْ فَازَ فَوْزًا عَظِيمًا ﴾ [الأحزاب: 70، 71].


হামদ ওয়াসালাতের পর: সর্বোত্তম বাণী হলো আল্লাহর বাণী, আর সর্বোত্তম পন্থা হলো মুহাম্মদের পন্থা, সবচেয়ে নিকৃষ্ট বিষয় হলো দ্বীনে নব আবিষ্কৃত, আর প্রতিটি নব আবিষ্কৃত বিদআত, প্রতিটি বিদআতই গোমরাহী।

 

বিশ্বস্ত ভাইয়েরা! আমাদের আজকের বক্তব্যের বিষয় হল এমন একটি ঘৃণ্য বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে, যার কুপ্রভাব থেকে নারী-পুরুষ, যুবক ও বৃদ্ধ কেউ সুরক্ষিত নয়। তবে আল্লাহ যার প্রতি বিশেষ অনুগ্রহ করছেন তার কথা ভিন্ন। প্রকৃতপক্ষে এটি একটি সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে যা মুসলমানদের মধ্যে ভালোবাসা ও ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক নষ্ট করে দিচ্ছে, এটি শত্রুতার একটি বড় কারণ এবং এটি একটি বড় পাপ। যা ঈমানের আলোকে নিভিয়ে দেয় এবং একজন ব্যক্তিকে কল্যাণের মর্যাদা থেকে সরিয়ে দেয়, এটি কবরের আযাবের কারণ, আল্লাহ আমাকে এবং আপনাকে তা থেকে রক্ষা করুন। এটি আপনার নেক আমল নষ্ট করার কারণ, আমরা এমন ক্ষতি থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই। সেই ব্যধিটি হচ্ছে গীবত করা। আল্লাহ আমাদের গীবত থেকে নিষেধ করেছেনঃ

﴿ وَلَا يَغْتَبْ بَعْضُكُمْ بَعْضًا ﴾ [الحجرات: 12].

 

আর তোমাদের কেউ যেন এক অপরের গীবত না করে।

 

গীবত হল আপনার ভাইয়ের অনুপস্থিতিতে তার অপছন্দের কথা বলা। গীবত নিষেধ করার পর মহান আল্লাহ গীবতকারীর এমন একটি উপমা দিয়েছেন যা এর কদর্যতা ও অনিষ্টতা তুলে ধরে। আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ

﴿ أَيُحِبُّ أَحَدُكُمْ أَنْ يَأْكُلَ لَحْمَ أَخِيهِ مَيْتًا فَكَرِهْتُمُوهُ ﴾ [الحجرات: 12].

 

অনুবাদঃ তোমাদের মধ্যে কেউ কি তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে পছন্দ করবে?

 

ইবনে আশুর তার তাফসিরে বলেছেন: "এই উদাহরণের উদ্দেশ্য হল সেই জিনিসের অশ্লীলতা এবং ভয়াবহতা বর্ণনা করা যার উদাহরণ দেওয়া হয়েছে, যাতে গীবতকারীদের কাছে এর গুরুতরতা স্পষ্ট করা যায়। কারণ গীবত মানুষের মধ্যে সাধারণ হয়ে গেছে, বিশেষ করে জাহিলিয়াতের যুগে এটা খুবই সাধারণ ছিল। অতএব, যে তার একজন মুসলমান ভাইয়ের গীবত করে, যিনি উপস্থিত নেই, সে এমন একজন ব্যক্তির মতো যে তার ভাইয়ের গোশত ভক্ষণ করে সে মৃত অবস্থায়, আত্মরক্ষা করতে অক্ষম।"

 

তিনি আরও বলেন: "আল্লাহ তায়ালার ফরমানে "ফা" অক্ষরটিকে ফায়ে-ই-ফসীহা বলা হয়।

 

অনুপস্থিত সর্বনাম (هُ) প্রত্যাবর্তন করছে: আহাদুকুম বা (লাহম) শব্দের দিকে। "ঘৃণ্য" অর্থ: অপছন্দ করা এবং কুৎসিত মনে করা।

 

হে আল্লাহ, আমাদেরকে এবং সেই সমস্ত লোকদের ক্ষমা করুন যাদের আমরা গীবত করেছি এবং আমাদের খালিস তাওবা করার তৌফিক দান করুন।

 

ইসলামী ভাইয়েরা! আপনি কি দেখেছেন আল্লাহ গীবতকে কেমন জিনিসের সাথে তুলনা করেছেন, অথচ আমরা দিনরাত গীবত করে থাকি, ইল্লা মাশাআল্লাহ, গীবতের অশুভ ও কুফল আজ আমাদের ল্যাপটপ ও মোবাইলের মাধ্যমেও হয়ে থাকে।

 

সুতরাং, সোশ্যাল মিডিয়াতে, একজন আলেম, একজন প্রচারক এবং কখনও কখনও একজন খেলোয়াড় ইত্যাদির গীবত করা হয় এবং বিভিন্ন জাতি এবং উপজাতি ইত্যাদিকে নিয়ে মজা করা হয়।

 

প্রিয় বন্ধুগণ! গুনাহের গুরুতরতা নির্ধারণ মানুষের হাতে নয়, বরং মানুষের প্রভুর হাতে এবং তা একমাত্র রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামই জানাতে পারেন।

 

বেশি বেশি গীবত করা মানে এই না যে এটা ছোট গুনাহ! মুআয বিন জাবাল (রাঃ) এক সফরে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর সাথে ছিলেন। মুআয (রাঃ) বলেনঃ একদিন আমরা হাঁটতে হাঁটতে নবী সাঃ কাছাকাছি হলাম। আমি বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন একটি কাজ সম্পর্কে আমাকে জানিয়ে দিন যা আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে এবং জাহান্নাম হতে দূরে রাখবে। তিনি বললেনঃ তুমি তো আমাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রশ্ন করেছো। তবে সেই ব্যক্তির জন্য এ ব্যাপারটা অতি সহজ যে ব্যক্তির জন্য আল্লাহ তা’আলা তা সহজ করে দেন।

 

তুমি আল্লাহ তা’আলার ইবাদাত করবে, কোন কিছুকে তার সাথে শরীক করবে না, নামায প্রতিষ্ঠা করবে, যাকাত দিবে, রামাযানের রোযা রাখবে এবং বাইতুল্লাহর হাজ্জ করবে। তিনি আরো বললেনঃ আমি কি তোমাকে কল্যাণের দরজাসমূহ সম্পর্কে বলে দিব না? রোযা হলো ঢালস্বরূপ, দান-খাইরাত গুনাহসমূহ বিলীন করে দেয়, যেমনিভাবে পানি আগুনকে নিভিয়ে দেয় এবং কোন ব্যক্তির মধ্যরাতের নামায আদায় করা। তারপর তিনি এই আয়াতটি তিলাওয়াত করেনঃ “তাদের দেহপাশ বিছানা থেকে আলাদা হয়ে যায় এবং তারা তাদের প্রভুকে ডাকে আশায় ও ভয়ে এবং আমি তাদেরকে যে রিযক দান করেছি তা থেকে তারা ব্যয় করে। কেউই জানে না তাদের জন্য নয়নপ্রীতিকর কি লুকিয়ে রাখা হয়েছে তাদের কৃতকর্মের পুরস্কারস্বরূপ " (তিরমিযী, আলবানী এটিকে সহীহ বলেছেন)।

 

রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তার দু’চোয়ালের মাঝের বস্তু (জিহ্বা) এবং দু’রানের মাঝখানের বস্তু (লজ্জাস্থান) এর জামানত আমাকে দিবে, আমি তার জান্নাতের যিম্মাদার। (বুখারী)

 

আল্লাহর বান্দারা! আপনি কি কখনও সমুদ্র ভ্রমণ করেছেন? আপনি কি কখনও এর উপর দিয়ে উড়ে গেছেন এবং এর বিশালতা দেখে বিস্মিত হয়েছেন?! এই সাগর, যেখানে আমাদের সময়ে ব্যবহৃত পানি গিয়ে মিশ্রিত হয় কিন্ত তাতে কোনো পরিবর্তন হয় না, ধরুন যে গীবত করার কোনো রঙ আছে, তাহলে সমুদ্রও এই রঙে রঙিন হয়ে যেত!

 

আয়িশাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বললাম, সাফিয়্যাহ (রাঃ)-এর ব্যাপারে আপনার জন্য এতটুকুই যে, সে এরূপ অর্থাৎ তিনি খাটো। তিনি বললেনঃ তুমি এমন একটি কথা বলেছ, যা সমুদ্রে মিশিয়ে দিলে তাতে সমুদ্রের পানি রং পাল্টে যাবে। (আবু দাউদ, আলবিনী এটিকে সহীহ বলেছেন)।

 

হতে পারে এমন বাক্য শ্রবণ করে শ্রবণকারীর মধ্যে শত্রুতা জন্ম নিতে পারে।

 

গীবত কবরের আযাবের একটি কারণ। আবু দাউদে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মি‘রাজের রাতে আমি এমন এক কওমের পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলাম যাদের নখগুলো তামার তৈরী এবং তা দিয়ে তারা অনবরত তাদের মুখমন্ডলে ও বুকে আচড় মারছে। আমি বললাম, হে জিবরীল! এরা কারা? তিনি বললেন, এরা সেসব লোক যারা মানুষের গোশত খেতো (গীবত করতো) এবং তাদের মানসম্মানে আঘাত হানতো। (আলবানী এটিকে সহীহ বলেছেন)

 

খারাপ কাজে বাধা দানকারী গীবতকারীর জন্য বেশি দয়ালু এবং বেশি চিন্তিত, সেই ব্যক্তির অপেক্ষায় যে, তার তোষামোদ করে। কারণ বাধা দানকারী ব্যক্তি গীবতকারীকে গুনাহ ও শাস্তি থেকে বিরত রাখে।

 

হে আল্লাহ! আমরা নিজেদের উপর জুলুম করেছি...হে আল্লাহ! আমরা আপনার কাছে অন্তর, জিহ্বা, কান ও চোখের পবিত্রতা কামনা করছি, তোমরা সবাই আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর, নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল।

 

দ্বিতীয় খুতবা

الحمدلله....

 

জিহ্বা একটি নিআমত, কিন্তু কখনও কখনও এটি কষ্ট এবং শাস্তি হয়ে ওঠে, যেমন এটি মহান পুণ্যের দ্বার, তেমন এটি মহান মন্দেরও দ্বার, এই সমস্ত মন্দের মধ্যে, সবচেয়ে ব্যাপক এবং গুরুতর মন্দ হল গীবত করা।

 

আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে তা পরিহার ও তওবা করার তৌফিক দান করুন। এটি এমন একটি কাজ যা গীবতকারীর অন্তরে ঈমানের দুর্বলতা প্রকাশ করে। হাদীসে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ হে সেসব লোক যারা কেবল মুখেই ঈমান এনেছে কিন্তু ঈমান অন্তরে প্রবেশ করেনি! তোমরা মুসলিমদের গীবত করবে না ও দোষত্রুটি তালাশ করবে না। কারণ যারা তাদের দোষত্রুটি খুঁজে বেড়াবে আল্লাহও তাদের দোষত্রুটি খুঁজবেন। আর আল্লাহ কারো দোষত্রুটি তালাশ করলে তাকে তার তার ঘরের মধ্যেই অপদস্থ করে ছাড়বেন। (আবু দাউদ, আলবানী এটিকে সহীহ বলেছেন)।

 

আল্লাহর বান্দারা! শয়তান কীভাবে গীবতকে আমাদের কাছে আনন্দদায়ক করে আমাদেরকে প্রতারিত করে রেখেছে।

 

হ্যাঁ, আলেমগণ উল্লেখ করেছেন যে, গীবত করা বৈধ ও শরয়ী উদ্দেশ্যের জন্য জায়েয যা গীবত ব্যতীত অর্জন করা যায় না, যেমনটি অনেক দলীল দ্বারা প্রমাণিত। এবং এই কারণগুলি দু লাইনের কবিতায় সংক্ষেপে বলা হয়েছেঃ

الذم ليس بغيبةٍ في ستة
متظلم ومعرِّف ومحذِّر
ولمظهر فسقا ومستفت ومن
طلب الإعانة في إزالة منكر

 

অনুবাদ: ছয়টি অবস্থায় গীবত করা নিন্দনীয় নয়, নির্যাতিতদের জন্য, কাউকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া ব্যক্তির জন্য বা কাউকে সতর্ককারীর জন্য,

 

যে ব্যক্তি লোকারণ্যে পাপের কাজ করে তার গীবত করা জায়েয। আর যে ব্যক্তি ফতোয়া চায় এবং যে মন্দ দূর করার জন্য সাহায্য চায় তার জন্যও গীবত করা জায়েজ।

 

বিদ্বানগণ বলেন: যেমন, গীবত করা এমন ব্যক্তির জন্য জায়েয যার ঋণ গ্রহীতা বিলম্বিত করেছে। তার নিপীড়নের বর্ণনা দিতে গিয়ে, এটা বলা জায়েয যে, অমুক অমুক ব্যক্তি আমার সাথে টাল বাহানা করেছে। তবে অন্যান্য বিষয়ে তার গীবত করা এবং তার মন্দ কাজগুলো বর্ণনা করা জায়েয নয়।

 

এতে কোন সন্দেহ নেই যে, একজন মুসলমান মাঝে মাঝে কথা বলতে ইতস্তত করে, তাই সে বুঝতে পারে না যে সে যা বলতে চায় তা অনুপস্থিত ব্যক্তির কাছে অপছন্দ হবে, যা গীবত বলে গণ্য হবে, অথবা সে তা অপছন্দ করবে না এবং বলা জায়েজ হবে। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের তাকওয়া ও সতর্কতার পথ অবলম্বন করতে হবে।

 

ফুযাইল বিন ইয়াদ বলেন: "সবচেয়ে বেশি ভয় ও তাকওয়া যবানের ক্ষেত্রে অবলম্বন করা উচিত"।

 

হে বিশ্বস্ত ভাইয়েরা! আমি এখানে কিছু কারণ উল্লেখ করতে যাচ্ছি যা আমাদের গীবত এড়াতে সাহায্য করবে, ইনশাআল্লাহ: একটি কারণ আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া। এটি গীবত এড়াতেও সাহায্য করে যদি আমরা গীবতের ভয়াবহতা মনে রাখি এবং মনে রাখি যে গীবত করা মৃত মাংস খাওয়ার মতো। উপদেশ, সদিচ্ছা, মন্দকে প্রত্যাখ্যানও তা থেকে বিরত থাকতে সহায়ক।

 

এছাড়াও, মজলিসে আল্লাহকে স্মরণ করাও এই অধ্যায়ে একটি সহায়ক কাজ, কারণ শয়তান স্মরণ থেকে পলায়ন করে।

 

গীবত এড়ানোর কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে এমন লোকদের সঙ্গে উঠা বসা করা যাদের ভাষা পবিত্র। এবং যতটা সম্ভব শারীরিক মিলন ও প্রযুক্তিগত সাক্ষাৎ এড়িয়ে চলা। এটি থেকে নিরাপদ থাকতে সাহায্য করে এমন একটি বিষয় হল মজলিসের সময়কাল যতটা সম্ভব কম হওয়া উচিত।

 

যুহরী থেকে বর্ণিত হয়েছে যে: "যদি সমাবেশ দীর্ঘায়িত হয় তবে এতে শয়তানের হস্তক্ষেপ যুক্ত হয়"।

 

গীবত এড়ানোর একটি উপায় হল এটা মনে রাখা যে গীবত করার কারণে গুনাহ লিপিবদ্ধ হয় এবং নেক আমল মুছে যায়।

 

ইবনুল মুবারক (রহঃ) বলেছেন: “আমি যদি কাউকে গীবত করতাম তবে আমি আমার পিতামাতার গীবত করতাম কারণ তারাই আমার নেক কাজের সবচেয়ে বেশি হকদার"।

 

আমি এই হাদীস দ্বারা কথা শেষ করছি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সেই বান্দার উপর আল্লাহ তা’আলা রহমত বর্ষণ করুন, যে তার কোন ভাইয়ের মান-সম্মান ও ধন-সম্পদের ব্যাপারে যুলুম করেছে। কিয়ামত দিবসে এ ব্যাপারে তাকে পাকড়াও করার পূর্বেই যেন সে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির কাছে ক্ষমা চেয়ে নেয়। কারণ, সে স্থানে (আখিরাতে) দিরহাম, দীনারের (বিনিময় প্রদানের) ব্যবস্থা থাকবে না। সুতরাং তার কোন ভালো আমল থাকলে (যুলুমের পরিমাণ অনুযায়ী) তা নিয়ে যাওয়া হবে। আর যদি কোন ভালো আমল না থাকে, তাহলে মাযলুমদের গুনাহ তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে। (তিরমিযী, বুখারীতেও এই ধরণের বর্ণনা রয়েছে)।

 

﴿ أَلَمْ تَرَ أَنَّ اللَّهَ يَعْلَمُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ مَا يَكُونُ مِنْ نَجْوَى ثَلَاثَةٍ إِلَّا هُوَ رَابِعُهُمْ وَلَا خَمْسَةٍ إِلَّا هُوَ سَادِسُهُمْ وَلَا أَدْنَى مِنْ ذَلِكَ وَلَا أَكْثَرَ إِلَّا هُوَ مَعَهُمْ أَيْنَ مَا كَانُوا ثُمَّ يُنَبِّئُهُمْ بِمَا عَمِلُوا يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِنَّ اللَّهَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ ﴾ [المجادلة: 7].

 

অনুবাদঃ আপনি কি লক্ষ্য করেন না যে, আসমানসমূহ ও যমীনে যা কিছু আছে আল্লাহ তা জানেন? তিন ব্যক্তির মধ্যে এমন কোনো গোপন পরামর্শ হয় না যাতে চতুর্থ জন হিসেবে তিনি থাকেন না এবং পাঁচ ব্যক্তির মধ্যেও হয় না যাতে ষষ্ট জন হিসেবে তিনি থাকেন না। তারা এর চেয়ে কম হোক বা বেশী হোক তিনি তো তাদের সঙ্গেই আছেন তারা যেখানেই থাকুক না কেন । তারপর তারা যা করে, তিনি তাদেরকে কিয়ামতের দিন তা জানিয়ে দেবেন। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ সব কিছু সম্পর্কে সম্যক অবগত।

 





 حفظ بصيغة PDFنسخة ملائمة للطباعة أرسل إلى صديق تعليقات الزوارأضف تعليقكمتابعة التعليقات
شارك وانشر

مقالات ذات صلة

  • لا تغتابوا المسلمين (خطبة)
  • لا تغتابوا المسلمين (خطبة) (باللغة الأردية)
  • لا تغتابوا المسلمين (خطبة) (باللغة الهندية)
  • خطبة: لا تغتابوا المسلمين (باللغة الإندونيسية)

مختارات من الشبكة

  • خطبة: فاعبد الله مخلصا له الدين (باللغة البنغالية)(مقالة - آفاق الشريعة)
  • فاذكروا آلاء الله لعلكم تفلحون (خطبة) - باللغة البنغالية(مقالة - آفاق الشريعة)
  • خطبة: غزوة تبوك (باللغة البنغالية)(مقالة - آفاق الشريعة)
  • خطبة: عداوة الشيطان في القرآن (باللغة البنغالية)(مقالة - آفاق الشريعة)
  • عبودية استماع القرآن العظيم (خطبة) - باللغة البنغالية(مقالة - آفاق الشريعة)
  • ضرورة طلب الهداية من الله (خطبة) - باللغة البنغالية(مقالة - آفاق الشريعة)
  • شؤم الذنوب (خطبة) - باللغة البنغالية(مقالة - آفاق الشريعة)
  • خطبة: لفت الأنظار للتفكر والاعتبار (1) - باللغة البنغالية(مقالة - آفاق الشريعة)
  • خطبة: (تجري بهم أعمالهم) - باللغة البنغالية(مقالة - آفاق الشريعة)
  • من مشكاة النبوة (5) "يا أم خالد هذا سنا" (خطبة) - باللغة البنغالية(مقالة - آفاق الشريعة)

 



أضف تعليقك:
الاسم  
البريد الإلكتروني (لن يتم عرضه للزوار)
الدولة
عنوان التعليق
نص التعليق

رجاء، اكتب كلمة : تعليق في المربع التالي

مرحباً بالضيف
الألوكة تقترب منك أكثر!
سجل الآن في شبكة الألوكة للتمتع بخدمات مميزة.
*

*

نسيت كلمة المرور؟
 
تعرّف أكثر على مزايا العضوية وتذكر أن جميع خدماتنا المميزة مجانية! سجل الآن.
شارك معنا
في نشر مشاركتك
في نشر الألوكة
سجل بريدك
  • بنر
  • بنر
كُتَّاب الألوكة
  • مركز إسلامي شامل على مشارف التنفيذ في بيتسفيلد بعد سنوات من التخطيط
  • مئات الزوار يشاركون في يوم المسجد المفتوح في نابرفيل
  • مشروع إسلامي ضخم بمقاطعة دوفين يقترب من الموافقة الرسمية
  • ختام ناجح للمسابقة الإسلامية السنوية للطلاب في ألبانيا
  • ندوة تثقيفية في مدينة تيرانا تجهز الحجاج لأداء مناسك الحج
  • مسجد كندي يقترب من نيل الاعتراف به موقعا تراثيا في أوتاوا
  • دفعة جديدة من خريجي برامج الدراسات الإسلامية في أستراليا
  • حجاج القرم يستعدون لرحلتهم المقدسة بندوة تثقيفية شاملة

  • بنر
  • بنر

تابعونا على
 
حقوق النشر محفوظة © 1446هـ / 2025م لموقع الألوكة
آخر تحديث للشبكة بتاريخ : 29/11/1446هـ - الساعة: 0:47
أضف محرك بحث الألوكة إلى متصفح الويب